• ২০২৩ ডিসেম্বর ১০, রবিবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৫
  • সর্বশেষ আপডেট : ২:২২ অপরাহ্ন
  • বেটা ভার্সন
Logo
  • ২০২৩ ডিসেম্বর ১০, রবিবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৫

মধুচন্দ্রিমাতেই খুনের পরিকল্পনা!

  • প্রকাশিত ১২:২০ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, মে ১৭, ২০২২
মধুচন্দ্রিমাতেই খুনের পরিকল্পনা!
ছবি-সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্ক

মধুচন্দ্রিমার সময়ই অ্যাম্বার হার্ডকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অভিনেতা জনি ডেপ। এমনকি মাদকাসক্ত জনি সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন অ্যাম্বারের গায়ে। আদালতে এমনই অভিযোগ করলেন জনি ডেপের সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড।

এক সময় নিবিড় ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল জনি ডেপ ও অ্যাম্বারের। সে কথা মনে করে ডুকরে কেঁদে ওঠেন অ্যাম্বার। তিনি বলেন, ভাবতেও পারছেন না, সব কিছু ঠিক এভাবে শেষ হয়ে যাবে! তিনি আজও ভালোবাসেন জনি ডেপকে। কিন্তু তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, কিছুই যে আর ঠিক হওয়ার নয়। আদালতে মামলা হয়েছে। সেখানে পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠে আসছে।

শুনানি থেকে স্পষ্ট, দুজনের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল ২০১৫ সালের পর থেকে। ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ। তারপরও কাদা ছোড়াছুড়ি শেষ হয়নি। ৫০ লাখ ডলার খরচ করে অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন জনি। সেই মামলার শুনানি চলছে ভার্জিনিয়ার আদালতে।

আদালতে অ্যাম্বার জানান, তিনি যে এতদিন বেঁচে আছেন, সেটাই আশ্চর্য। ২০১৫ সালে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মৃত্যুভয় দেখে এসেছিলেন তিনি। জনি নাকি তাকে ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মধ্যেই গলা টিপে ধরেছিলেন। ঘাড় ধরে ফেলে দিতে গিয়েছিলেন চলন্ত ট্রেন থেকে।

অ্যাম্বারের দাবি, সেটাই ছিল শুরু। এরপর প্রায় প্রতিদিনই হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, জনি তার ওপর সবরকম অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে জনিকে মাদকাসক্ত এবং স্বেচ্ছাচারী হিসেবেও উল্লেখ করেন অ্যাম্বার।

যদিও সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনি ডেপ। তার পক্ষের আইনজীবীরাও নিয়মিত নিরস্ত করার চেষ্টা করে চলেছেন অ্যাম্বারকে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, অ্যাম্বার উল্টো জনিকে হেনস্তা করেছেন। শয্যায় মলত্যাগ করাসহ নানাভাবে অভিনেতার মান নষ্ট করেছেন।

তবে অ্যাম্বারও দমার পাত্রী নন। স্পষ্ট জানান, তর্ক-বিতর্ক তাদের মধ্যে চলতই, যেমন আরও পাঁচটা দম্পতির চলে। কিন্তু তর্ক করতে করতেই নাকি উত্তেজিত হয়ে পড়তেন জনি। একবার সোজা এসে ছুরি চালিয়ে দিয়েছেন অ্যাম্বারের গায়ে। জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন তাকে, এমনও অভিযোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ