• ২০২৩ ডিসেম্বর ১০, রবিবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ২:২২ অপরাহ্ন
  • বেটা ভার্সন
Logo
  • ২০২৩ ডিসেম্বর ১০, রবিবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৬

বঙ্গমাতা সেতুর পিলারে ধাক্কা, জাহাজ আটক

  • প্রকাশিত ১:১৫ পূর্বাহ্ন বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
বঙ্গমাতা সেতুর পিলারে ধাক্কা, জাহাজ আটক
সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর-খুলনা মহাসড়কের পিরোজপুরের কঁচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর পিলারে ধাক্কা দেওয়া এম ভি জামান-২ মালবাহী জাহাজটিকে মঙ্গলবার বিকেলে আটক করেছে মংলা নৌ পুলিশ। তবে এ সময় জাহাজের চালকসহ অন্যান্য লোকজন পালিয়ে গেছে। পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নাবিল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউপি চেয়ারম্যান আজমীর হোসেন মাঝি বলেন, মালবাহী জাহাজ এম ভি জামান-২ বঙ্গমাতা সেতুতে ধাক্কা দিলে সেতুতে থাকা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সেতুর ওপরে থাকা লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ পিয়ারে ধাক্কা দেয়ার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। ভিডিওটি আমি দেখেছি। আমি প্রশাসনের কাছে সেতুর নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানাই।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস বেপারী জানান, রাতে তিনিসহ কয়েকজন সেতুতে ঘুরতে যান। রাত সাড়ে আটটার দিকে তারা সেতুর মাঝ বরাবার ছিলেন। এসময় সেতুর উত্তর প্রান্ত থেকে মালবাহী জাহাজ এম ভি জামান-২ এসে মাঝ বরাবর একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এরপরই ভান্ডারিয়া-মঠবাড়িয়া হয়ে খুলনার দিকে চলে যায় জাহাজটি। সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগলে বিকট শব্দে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নাবিল হোসেন বলেন, সেতুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। আঘাতে ৫ নং পিলারের রিং এর সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় মালবাহী জাহাজ এম ভি জামান-২ এর বিরুদ্ধে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে।

৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। গত ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সেতুর হস্তান্তর সনদ চুক্তিতে সই করেন।

চলতি মাসের (৪ সেপ্টেম্বর) রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করেন। এদিন রবিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।


সর্বশেষ