উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টার ছয় ঘণ্টা আগেই নতুন যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়েছে নাসার আর্টেমিস ওয়ান মিশন। একদিকে রকেটের ইঞ্জিন শীতল করার চেষ্টা করছেন নাসার প্রকৌশলীরা; অন্যদিকে লিক হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে তরল হাইড্রোজেন। তবে এখনও উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা বাতিল বা স্থগিত করার কোনো ঘোষণা আসেনি নাসার পক্ষ থেকে।
ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে অবস্থিত কেনেডি স্পেস সেন্টারে শনিবার সকাল থেকেই ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)’ রকেট এবং লাগোয়া বুস্টার রকেটগুলো উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করছিলেন নাসার প্রকৌশলীরা। সে সময়েই ধরা পড়েছে নতুন এই ত্রুটি।
ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে নাসা নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, পুরো মহাকাশযানের ভিন্ন ভিন্ন অংশগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার যন্ত্রাংশগুলোর একটি থেকে তরল হাইড্রোজেন লিক হচ্ছে।
আকস্মিক জটিলতা মোকাবেলা করতে প্রকৌশলীরা রকেট প্রোপেল্যান্টের সরবরাহ বন্ধ করে লিক সারাইয়ের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে নাসা।
একই সঙ্গে লঞ্চ কন্ট্রোলার থেকে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশটির তাপ বাড়িয়ে আবার সঠিক স্থানে বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তরল অক্সিজেনের প্রবাহ চালু আছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মানব নভোচারীদের চাঁদে ফেরানোর লক্ষ্যে পাঁচ দশক পরে নাসার প্রথম মিশন হতে যাচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান। সোমবারেই ওরিয়নবাহী এসএলএস রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটিতে থমকে গিয়েছিল সেদিনের উৎক্ষেপণ।
পরে শনিবার ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৭ মিনিটের পর (বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১২টা ১৭ মিনিট) উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টার ঘোষণা দেয় নাসা।
এ যাত্রায় ওরিয়নে কোনো মানব নভোচারী নেই, আছে তিনটি ম্যানিকুইন বা ডামি। আর্টেমিস ওয়ান মিশনের মাধ্যমে আদতে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট এবং এসএলএস রকেটের কার্যক্ষমতা যাচাই করে দেখতে চাইছে নাসা।
মতামত দিন