পিরোজপুরের কুমিরমারা ফেরিঘাটে কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হিল কাফি পল্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ হিল কাফি খুলনা থেকে পটুয়াখালী তার মামার বাসায় স্ত্রী শারমিন কবির ও ৭ বছরের একমাত্র ছেলে আমের আব্দুল্লাহর কাছে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর পরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আব্দুল্লাহ হিল কাফি ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেওলা ইউনিয়নের চরটিকিয়া গ্রামের মৃত কেফায়েত উল্লার ছেলে।
আব্দুল্লাহ হিল কাফির বহনকারী গাড়ির ড্রাইভার ইব্রাহিম বলেন, স্যার পড়ে যাওয়ার সময় আমি দেখতে পাইনি। অন্য লোকদের মুখে শুনে আমি স্যারকে খুঁজতে থাকি। না পেয়ে তাকে মোবাইল করি কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাই। তখন অনেকে বলছিলো যে লোক নদীতে পড়ে গেছে তার মাথায় চুল কম। আমি তখন নিশ্চিত হই স্যার নদীতে পড়ে গেছে। পরে আমি পটুয়াখালী তার মামার কাছে জানাই।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পটুয়াখালী থেকে নিখোঁজ আব্দুল্লাহ হিল কাফির স্ত্রী শারমিন কবির ও মামা জাহিদুর রহমান ইমন ঘটনাস্থলে আসেন।
নিখোঁজ ব্যক্তির মামা জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। আব্দুল্লাহ হিল কাফি সাতক্ষিরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে সম্প্রতি খুলনা কাস্টমস অফিসে বদলি হয়েছিলো। আজ ছিলো আব্দুল্লাহ হিল কাফির জন্মদিন। সে আমাদের পটুয়াখালির বাসায়ই যাচ্ছিল। আয়োজন করা হয়েছিলো জন্মদিনের অনুষ্ঠান। তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে আমাদের বাসায় আগে থেকেই বেড়াতে আসছিলো। তারা ঢাকার ফার্মগেটে একটি বাড়িতে থাকে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে যতক্ষণ পর্যন্ত আব্দুল্লাহ হিল কাফির খোঁজ পাওয়া না যাবে ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান চলবে।
পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেই। আমরা যত ধরনের কৌশল ছিলো প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
মতামত দিন