১৮ বছর পর বেদখল হওয়া জায়গা ফিরে পেল স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা। ২০০৪ সালে ব্যক্তি স্বার্থে কনকর্ড কনডোমিনিয়াম লিমিটেডকে ৪০ কাঠা জায়গা দেয় তখনকার কমিটি। ৪ শিক্ষার্থীর করা রিট পিটিশনে অবশেষে এতিমখানা ফিরে পেল সেই জায়গা।
১৮ তলার সুবিশাল এই ভবনটি নির্মান করেছে কনকর্ড কনডোমিনিয়াম লিমিটেড। তবে এটি স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার।
১৯০৯ সালে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ এতিমখানাটি স্থাপন করেন এবং পরবর্তী সরকারের নিকট হতে আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সময় জমি লিজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে। তবে ২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার তৎকালীন সরকারের মহিলা এমপি বেগম সামছুন্নাহার, তার ছেলে এবং সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জি এ খান আহসান উল্লাহ এতিমখানার ৪০ কাঠা জমি হস্তান্তর করে কনকর্ডকে। ভবন নির্মাণ চুক্তি অনুযায়ী এতিমখানা পাবে ১২ শতাংশ আর ডেভেলপার ৮৮ শতাংশ। সাইনিং মানি ছিল মাত্র ৩০ লাখ টাকা।
এই চুক্তির বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করে এতিমখানার ৪ শিক্ষার্থী। সবশেষ চলতি বছরের জুনে সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ আদেশ দেন পুরো জায়গা এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে। ৩০ দিনের মধ্যে কনকর্ড হস্তান্তর না করায় জেলা প্রশাসন জায়গা বুঝি দেয় এতিমখানাকে।
এতিমখানার সম্পত্তি সরকারে নিকট থেকে লিজ নেওয়ার শর্ত ছিল প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ব্যতীত অন্য কোনো কাজে জমি ব্যবহার করা যাবে না। তাই যারা এই চুক্তি করেছে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
এই ভবনকে কিভাবে এতিমখানার কাজে লাগানো যায় সে বিষয়টি ভেবে দেখছে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর।
মতামত দিন