ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার উড়োজাহাজটি বিমানের হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, পার্কিং করার সময় বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই উড়োজাহাজটি পুশব্যাক শুরু করা হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে উড়োজাহাজটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিমানের একটি সূত্র জানায়, বিমানের ওই উড়োজাহাজটি বিকেলে ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে থেমে যাত্রী নামায়। তখন উড়োজাহাজ ফাঁকা ছিল। ওই উড়োজাহাজের আজ কোনো ফ্লাইটও ছিল না। সাধারণত কোনো উড়োজাহাজে ফ্লাইট না থাকলে দরজা বন্ধ করে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে আলাদা করা হয় এবং পুশব্যাক (পেছনে ধাক্কা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া) করা হয়। উড়োজাহাজটি পার্কিংয়ের জায়গায় নেওয়ার কথা। কিন্তু দরজা বন্ধ না করেই এবং বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়াই উড়োজাহাজটির পুশব্যাক শুরু করা হয়। এ সময় উড়োজাহাজের দরজার সঙ্গে বোর্ডিং ব্রিজের একটি টান লাগে। তখন বিমানবন্দরে হইচই শুরু হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বোর্ডিং ব্রিজ থেকে আলাদা করার সময় যেসব নিয়মকানুন মানতে হয়, তা মানা হয়নি। উড়োজাহাজটির দরজা ও বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই পুশব্যাক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ ও উড়োজাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং-৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-৩৪০ ১৬ জুন সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিকেল সোয়া চারটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরে উড়োজাহাজটি ৪ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে আনা হয়। যাত্রী, ব্যাগেজ ও কার্গো অফ-লোডিং শেষে হ্যাঙ্গারে নেওয়ার সময় বোর্ডিং ব্রিজের ক্যানোপি উড়োজাহাজের দোরগোড়ার সংযোগস্থলের সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় বোর্ডিং ব্রিজে থাকা রাবারের সঙ্গে ঘর্ষণ লাগে। তখন প্রকৌশলীরা জানান, বোর্ডিং ব্রিজের ঘর্ষণ প্রতিরোধক রাবার ঠিক করা হয়েছে। উড়োজাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি।
মতামত দিন