• ২০২৩ ডিসেম্বর ০৯, শনিবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৫
  • সর্বশেষ আপডেট : ২:২২ অপরাহ্ন
  • বেটা ভার্সন
Logo
  • ২০২৩ ডিসেম্বর ০৯, শনিবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৫

অমোচনীয় কালি লাগিয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি

  • প্রকাশিত ১২:৩৬ অপরাহ্ন রবিবার, মার্চ ০৬, ২০২২
অমোচনীয় কালি লাগিয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি
ছবি-সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাল ভোট এড়াতে ভোট দিতে গেলে হাতের আঙুলে অমোচনীয় কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়, ক্রেতার ভিড়ের কারণে এখন টিসিবির পণ্য কেনার লাইনেও তার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।

রোববার বেলা ২টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাবুলের পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় টিসিবির ট্রাকের সামনে নারী ও পুরুষের দুই লাইনই বেশ দীর্ঘ।

দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে পণ্য না পাওয়ার উৎকণ্ঠায় বিশৃঙ্খলাও দেখা দিচ্ছিল লাইনে। তখন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ক্রেতাদের হাতে অমোচনীয় কালিতে ক্রমিক নম্বর বসিয়ে দিচ্ছিলেন ডিলারের কর্মী।

লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, রোদের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে থেকেও তারা ট্রাকের কাছাকাছি যেতে পারছেন না লাইনের সামনের দিকে জটলার জন্য।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিন দিনই দীর্ঘ হচ্ছে।

এখন বাজারে ২ কেজি চিনি ১৭০ টাকা, পাঁচ কেজি পেঁয়াজ ২৭৫ টাকা, প্রতি লিটার ১৮০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল ৩৬০ টাকা এবং দুই কেজি মসুর ডাল ২০০ টাকা।

টিসিবি প্রতি ক্রেতার জন্য ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, ৩০ টাকা কেজি দরে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি পেঁয়াজ এবং ৬৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল বিক্রি করছে।

ফলে টিসিবি থেকে একবার কেনাকাটা করতে পারলে প্রায় ৪০০ টাকা সাশ্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।

সকাল ১১টার দিকে ট্রাকটি থামার পরপরই পাশের মনিপুর স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের নিয়ে আসা অভিভাবকরাও দাঁড়িয়ে পড়েন পণ্যকেনার সারিতে। তবে রাস্তাটি সরু হওয়ায় সেখানে অস্বস্তিকর যানজটের সৃষ্টি হয়।

এখানে অপেক্ষমাণ শত শত মানুষকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার জন্য ছিল না কোনো উদ্যোগ।

ফলে অনেকেই দুই ঘণ্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য কিনতে পারেননি। আবার কেউ কেউ অপকৌশলনের আশ্রয় নিয়ে একাধিক বার পণ্য কিনেছেন বলে অভিযোগ করেন লাইনে দাঁড়ানো অনেকে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির ঢাকার অঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান হুমায়ুন কবির বলেন, এবার স্থান চিহ্নিতকরণসহ অন্যান্য কাজে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। ট্রাক দাঁড়ানোর স্থান নির্বাচন করা হয়েছে তাদের পছন্দের ভিত্তিতে।

সর্বশেষ