পদ্মা সেতু চালু হওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে লঞ্চে। যাত্রী কমতে থাকায় ভাড়াও কমিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে, মালিক সমিতি বলছে, ভাড়া কমানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই, নিজ উদ্যোগেই যাত্রী টানতে ভাড়া কমানো হয়েছে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে ডকইয়ার্ডে চলছে পুরাতন লঞ্চ মেরামতের কাজ।
চিরচেনা ব্যস্ত সদরঘাট টার্মিনালের চেহারাটাই যেন বদলে গেছে এ কয়েকদিনে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথে বেড়েছে গতি। বিভিন্ন পরিবহনের বাসে এখন কম সময়ে ও সহজে বরিশালসহ দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তাই নৌপথে যাত্রী কমতে শুরু করেছে।
সবচেয়ে বেশি যাত্রী কমেছে ঢাকা-বরিশাল, ঝালকাঠি, ভান্ডারিয়া, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী রুটে। এসব রুটে অনেক লঞ্চের ডেকে আগে ভাড়া ৩০০-৩৫০ টাকা নেওয়া হলেও এখন ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেবিনের ভাড়াও কমেছে গড়ে ৪-৫ শ টাকা পর্যন্ত।
লঞ্চমালিকদের সংগঠনের নেতারা জানান, ভাড়া কমানোর কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবেনা।
এদিকে, ঈদ সামনে রেখে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ডকে চলছে পুরাতন ও ফিটনেসবিহীন লঞ্চের মেরামত ও রং করার কাজ।
ঈদে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে ২২৪ টি লঞ্চ চলাচল করবে। পদ্মা সেতুর প্রভাবে ঈদেও যাত্রী চাপ কিছুটা কম থাকতে পারে বলে জানান লঞ্চমালিকরা।
মতামত দিন